৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর,সম্পাদক আজগর নস্করসহ ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষনা

আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০১৯

মৎস্যজীবী লীগ কমিটির সভাপতি লায়ন শেখ,সম্পাদক আজগর নস্করের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বরিশাল মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান মোঃ হাবিব।

বিজয় নিউজ::  আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলন শেষে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠান শেষে মৎস্যজীবী লীগের নব কমিটির সভাপতি লায়ন শেখ ও সম্পাদক আজগর নস্করের সাথে বরিশাল মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান মোঃ হাবিব ১ শতাদিক নেতা কর্মী নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আজগর নস্কর এবং কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল আলম মানিক।

শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ৫ জনের নাম ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এরমধ্যে একজন নারী রয়েছেন। এরা হলেন: আবুল বাসার, আবদুল গফুর, মুহাম্মদ আলম, নূরে আলম রহু এবং নাসরিন সুলতানা।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল আলিম, টিপু সুলতান, রফিকুল ইসলাম রফিক।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মৎস্যজীবী লীগের শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। আমাদের প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এখানে মনে হচ্ছে এই সংগঠনে কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি। সত্যিকার অর্থে মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধি পিছনে পড়ে আছে।

কাদের বলেন, ঢাকায় বসে যারা নেতৃত্ব করেন, তারা মঞ্চ দখল করে আছেন, এটা কিন্তু ঠিক নয়, এভাবে সংগঠন টিকবে না। সত্যিকারে যারা মৎস্যজীবী তারা প্রতিনিধিত্ব করতে না পারলে, এ ধরনের লীগ করার, এ ধরনের দোকান খোলার কোনো প্রয়োজন নেই। মৎস্যজীবী লীগে সত্যিকার অর্থে মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃত্ব দরকার। কোনো চাঁদাবাজের দোকান আমরা খুলতে চাই না। মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কেনো সম্পর্ক নেই, ঢাকায় বসে কার্ড বানিয়ে জায়গায়-জায়গায় গিয়ে চাঁদাবাজি করবে এমন নেতার দরকার নেই।

তিনি আরও বলেন, কাজেই এবার সবাইকে সাবধান থাকতে হবে, মাদক-সন্ত্রাস, জমি দখলের সঙ্গে, চাঁদাবাদের সঙ্গে জড়িতরা এ সংগঠনে থাকতে পারবে না। আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, মৎস্যজীবীর নামে যারা মৎস্যজীবীর ওপরে যারা ক্ষমতার দাপট দেখাবে তাদের আমরা নেতৃত্বে রাখব না।

এরপরই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কার্যকরী তিন পদ সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য প্রস্তাবনা আহ্বান করেন। সেখানে সভাপতি পদে ৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৮ জনের নামের প্রস্তাব আসে।

এরপর প্রথম অধিবেশন শেষ করে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের নিজের মধ্য থেকে নেতৃত্ব নির্বাচনের আহ্বান জানান। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শে মৎস্যজীবী লীগের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন।

182 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন