আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: মুসলিম উম্মাহর ঐক্য-সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সুখ-সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি এবং কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হাটহাজারীর জোড় ইজতেমা।
আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের মুক্তির প্রত্যাশায় হেদায়াতি বয়ান ও দাওয়াতিকাজ করার দৃপ্ত প্রত্যয় চিত্তে ধারণ করে।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত জোড় ইজতেমায় রোববার সকাল ৯টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
দুপুর ১২টা ৩৮মিনিটে শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। প্রায় ২৪ মিনিট ব্যাপী আখেরি মোনাজাত শেষ হয় দুপুর ১টা ২মিনিটে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইজতেমাস্থলের শামিয়ানায় পৌঁছাতে না পারা তথা ইজতেমাস্থলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক মুসল্লি মহাসড়ক ও সড়কে অবস্থান নেন। তারা পুরোনো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। পার্শ্ববর্তী কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাসাবাড়ি, দোকান ও যানবাহনের ছাদে অবস্থান নেন মুসল্লিরা।
আল্লাহর কাছে আকুতি জানিয়ে বাংলা ভাষায় মোনাজাত পরিচালনা করেন মারকাজ কাকরাইল মসজিদের খতিব আল্লামা হাফেজ জুবাইর আহমদ। তার সঙ্গে লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে আমিন, আমিন ধ্বনি তোলেন।
আখেরি মোনাজাতের ইজতেমার শেষে দিনে বাদ ফজর আমবয়ান করেন পাকিস্তানের মুরব্বি ডাক্তার নওশাদ। এ সময় তারই পার্শ্বে মঞ্চে উপবিষ্ট কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা নুরুর রহমান উক্ত বয়ান বাংলাতে তরজমা করেন।
এবার ইজতেমা থেকে ১ চিল্লা, ৩ চিল্লা ও ১ বছরের জন্য ৩০০ জামাত বের হয়েছে বলে এ প্রতিবেদককে জানান ইজতেমা কমিটির সদস্য পাহারাদার ও জিম্মদার মেখল মাদ্রাসার সিনিয়ির শিক্ষক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী।
মোনাজাতে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও হাটহাজারীর এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি, মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আলম মাসুম, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন মাদ্রাসার আলেম-ওলামাবৃন্দরা।