১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ধর্মপাষায় ২০১৯-২০অর্থবছরে উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)প্রকল্পের অর্ধ কোটি টাকা লুপাটের অভিযোগ

আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২০

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):: ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্ধ কোটি টাকা হালালের জন্য নামে-বেনামে পিআইসিদের নাম তালিকাভূক্ত করে এলজিইডির যোগসাজসে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্ধ কোটি টাকা লুপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৩১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার এলজিইডির হস্তক্ষেপে ১১টি প্রকল্প তৈরী করা হয়। ওই ১১টি প্রকল্পের বিপরিতে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের উদ্যোগে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত জুন মাসের প্রথম দিন অপেন লটারীর মাধ্যমে ২৯ দিনের মধ্যে ১১টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্দশনা দিলেও প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা কোটেশনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে প্রকল্প দেখিয়ে সাকুল্য টাকা উত্তোলন করেছেন বলে জা না গেছে।
একটি প্রতিষ্টানেই ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেমন,স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শ্রেনী কক্ষ নির্মান ৯ লাখ টাকা, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের কক্ষ নির্মান ৯ লাখ টাকা ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের আংশিক বাউন্ডারী ও খেলার মাঠ উন্নয়ন ৭ লাখ টাকা।
কোটেশনের মাধ্যমে নামে-বেনামে (পিআইসির) নাম তালিকাভূক্ত করে ৬০ ভাগ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে,তাও খুব নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে। বাকী ৪০ ভাগ প্রকল্প ভূয়া। পিআইসিরা নিজেই জানেন না তাদের প্রকল্পটি কোথায়। ¯’ানীয় সরকার এলজিইডির সহযোগীতায় ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে এডিপি প্রকল্পের অর্ধ কোটি টাকা লুপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৩০/১/২০২০ ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় থেকে এডিপি প্রকল্পের চুরান্ত তালিকা অনুযায়ি সরজমিনে দক্ষিন বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের গড়াকাটা (কুতুব বাজার) ২ লাখ টাকা ব্যয়ে টয়লেট নির্মানের কোন অস্তিত্ব নেই। মধ্যনগর বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পায়নি। সদও ইউনিয়নের দেওলা গ্রামের মসজিদের সামনে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘাটলা নির্মানের অস্তিত্ব নেই। এছাড়াও একাধিক নামে বেনামে ভূয়া প্রকল্প তৈরী করে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩০ জুনের মধ্যে সাকুল্য টাকা উত্তোলন করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মুনতাসির হাসান পলাশ তিনি বলেন, এডিপি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রকল্পের খোঁজ খবর নিব। কোন একটি প্রকল্পের কাজে অনিয়ম করিলে তা প্রমানিত হলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলাএলজিইডি প্রকৌশলী মো: আরিফ উল্লাহ খান তিনি বলেন, আপনার কাছে যে তালিকাটি রয়েছে ওই তালিকা সঠিক নয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রকল্প রদবদল করা হয়েছে। যে সব প্রকল্পের কাজ হয়নি তাদেরকে বিলও দেইনি। পর্যায় ক্রমে সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

145 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন