২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পর্যটকদের দুর্ভোগ গঙ্গামতি সৈকতে

আপডেট: জুন ২৮, ২০১৯

মোঃ নাসির উদ্দিন : গঙ্গামতি। অপার সম্ভাবনায়ময় আরেকটি পর্যটন কেন্দ্রের নাম। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার মাত্র তিন কিলোমিটার পূর্বে এর অবস্থান। গঙ্গামতি সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্থের মত মনলোভা দৃশ্য একনজর দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় করছে শতশত পর্যটক। কিন্তু ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আর ২ কিলোমিটার প্রস্থের এই সৈকতে যাওয়ার প্রবেশ দ্বারের রা¯Íাটি এখন সমতল ভূমিতে পরিনত হয়েছে।
সৈকতে আসা যাওয়ার সড়কটির এমন বেহাল দশার ফলে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা দ্বিতীয়বার আসতে অনিহা প্রকাশ করছে। রা¯Íাটি সংস্কারে উর্ধŸতন কর্তৃপÿের সুদৃষ্টি কামনা করছে পর্যটকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নে গঙ্গামতি সৈকতের অবস্থান। এখানে রয়েছে বিশাল আয়তনের সংরÿিত বনাঞ্চল। ইতোমধ্যে পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে স্থাপন করা হয়েছে সুপেয় পানির ২টি টিউবওয়েল, ২টি বাথরুমসহ পিকনিক স্পট। এছাড়া এখানে গড়ে উঠেছে পর্যটক নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পর্যটকরা দিনের আলোয় সবটুকু সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখন ভিড় করছে এ সৈকতে। এতকিছুর পরও এ সৈকতের প্রবেশদ্বারের রা¯Íাটি সংস্কারে সংশিøষ্ট কর্তৃপÿ রয়েছে উদাসীন।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, গঙ্গামতি সৈকতের বালুতটে লাল কাকড়ার লুকোচুরি দূর থেকে দেখলে মনে হবে পর্যটকদের অভ্যর্থনার জন্য যেন সৈকত জুড়ে লাল কার্পেট বিছিয়ে রাখা হয়েছে। পর্যটকদের এত সৌন্দর্য উপভোগ করার একমাত্র অন্তরায় হচ্ছে সৈকতে প্রবেশের রা¯Íা। এই রা¯Íাটি দ্রæত সংস্কার বা পাকাঁ করন করা হলে পর্যটদের পদচারনা অনেকগুন বেড়ে যাবে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি মহিউদ্দিন মাছুম বলেন, জোয়ারের সময় কুয়াকাটা সৈকত পানিতে তলিয়ে থাকায় গঙ্গামতি সৈকতে পর্যটকদের পদচারনা ক্রমশ বাড়ছে। সূর্যোদয় সূর্যা¯েÍর মত মনোরম দৃশ্য উপভোগ ছাড়াও বি¯Íীর্ন সৈকতের বালুকা বেলায় লাল কাকড়ার নৃত্য ও প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য আমাকে তৃতীয় বার এখানে টেনে এনেছে। তবে প্রবেশদ্বারের রা¯Íাটির বেহাল দশায় পর্যটকদের উপস্থিতি দিনদিন কমে যাচ্ছে।
গঙ্গামতি বীচের দোকানী মো.ইউসুফ আলী খাঁন জানান, আজ পর্যন্ত রা¯Íাটি পাঁকা হয়নি। রা¯Íা পাঁকা না হওয়ায় ব্যবসায়ী ও জেলেসহ পর্যটকদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আকন জানান, বালি দিয়ে রা¯Íাটি কোনমতে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্ত ইটের গাইডওয়াল না দিতে পারায় রা¯Íাটি সমতল ভূমিতে পরিনত হয়েছে। ইট দিয়ে রা¯Íা করার মত বরাদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদের নেই বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলৗ মো.আবদুল মান্নান জানান, গঙ্গামতির সৈকতের প্রবেশদ্বারের কাঁচা রা¯Íাটি পাঁকা করার স্কিম পাস হয়েছে। শিগ্রই এর নির্মান কাজ শুরু হবে।

80 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন