২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

অভিষেকেই আমিনুলের সাফল্য

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক ।।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হল আমিনুল ইসলামের। অভিষেক ম্যাচেই সাফল্য পেলেন ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ লেগ স্পিনার। ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে টিনোটেন্ডা মুতুমবাজিকে আউট করেন ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ।

নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রানে ১ উইকেট শিকার করেন আমিনুল। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শিকার করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। দলের ব্যাটিং ধ্বসের দিনে একাই লড়াই করে যাচ্ছিলেন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ের এ অধিনায়ককে এলবিডব্লিউ আউট করেন আমিনুল। তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২৫ বলে ২৫ রান করেন মাসাকাদজা। তার বিদায়ে ৮.৪ ওভারে ৪৪ রানে ৬ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

১৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে জিম্বাবুয়ান ওপেনার ব্রান্ড টেইলরকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ঠিক পরের ওভারে ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা চাকাভাকে আউট করেন সাকিব।

দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরেই সাফল্য ফেলেন শফিউল ইসলাম। ২৯ বছর বয়সী এ এই পেসার নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই শেন উইলিয়ামসকে আফিফ হোসেনের ক্যাচে পরিণত করেন শফিউল।

এরপর অষ্টম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে রায়ান বার্লের উইকেট শিকার করেন শফিউল। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চালিয়ে ছিলেন এই জিম্বাবুয়ান। মাত্র ১ রানে বার্লের বিদায়ে ৭.২ ওভারে ৩৭ রানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

বাংলাদেশ ১৭৫/৭

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। দলের সর্বোচ্চ ৬২ রানে করেন রিয়াদ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটা তার চতুর্থ ফিফটি।

বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন লিটন কুমার দাস। ওপেনিংয়ে তারা ৪.৫ ওভারে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন দুই ওপেনার।

কাইল জার্ভিসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। তার আগে ৯ বলে মাত্র ১১ রান করার সুযোগ পান তরুণ এ ওপেনার।

আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়া জাতীয় দলের ওপেনার লিটন দাস আজ শুরু থেকেই অসাধারণ ব্যাটিং করেন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান ক্রিস মফুর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন।

সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে চারটি চার ও দুই ছক্বায় ৩৮ রান করেন লিটন। তার বিদায়ে ৫.৫ ওভারে ৫৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দলীয় ৫৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। প্রত্যাশা ছিল তিনি ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখাবেন। আগের দুই ম্যাচে ১৬ রান করা সাকিব এদিন ফেরেন মাত্র ১০ রানে। তিন ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ মাত্র ২৬ রান। তার বিদায়ে ৭.২ ওভারে ৬৫ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তারা। রিয়াদ-মুশফিকের ব্যাটিং দেখে একটা সময়ে মনে হয়েছিল বাংলাদেশ দুইশ’ রানের কাছাকাছি যাবে।

কিন্তু ২৬ বলে ৩২ রান করে মুশফিক আউট হলে রান সংগ্রহের সেই অগ্রযাত্রা থেমে যায়। এরপর তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সেভাবে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে পরেননি রিয়াদ। অভিষেক ম্যাচে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয় উপহার দেয়া আফিফ এদিন ফেরেন মাত্র ৭ রানে।

ইনিংসের শেষ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন রিয়াদ। তার আগে ৪১ বলে এক চার ও ৪টি ছক্কায় ৬২ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আউট হয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে রিয়াদ-সৈকতের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে দুই বলে এক চারের সাহায্যে ৬ রান আদায় করে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৫/৭ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে ৩২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন কাইল জারভিস।

101 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন