আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২৩
বিজয় নিউজ :: ৬০ বছরের অবৈধ ভুমি দস্যু থেকে হিজলা থানার জমি উদ্ধার।বরিশালের হিজলা থানার ৩ একর ৭৭ শতাংশ জমি উদ্ধার করলেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুজ্জামান (বি পি এম)।
উদ্ধারকৃত জমির সিমানা নির্ধারন শেষে নারিকেল চারা রোপন করে অতিথিবৃন্দ। পরে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাজাহান হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত সিংহ, হিজলা গৌরবদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জনশ্রুতি রয়েছে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে চর হিজলা মৌজায় কাহালির হাট এর পার্শ্বে হিজলা থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু হয় থানার কার্যক্রম। ১৯৬৮ সালে দিকে মেঘনা নদীর প্রবল ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় থানা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা, কাহালির হাট।
৮০’র দশকে এখানে নতুন চর জাগে। নাম হয় উত্তরের চর।৮৫ থেকে ৯০ দশকে এ জমি দখলেনেন গাজি পরিবার। সেখান থেকে গাজি পরিবারকে হটিয়ে একই জমি দখলে নেন স্থানীয় চৌধুরী পরিবার। হারিয়ে যায় কাহালির হাট এবং থানার ইতিহাস।
২০২৩ সালের ১০ সেস্টেম্বর সোমবার থানার জমি বুঝে নেন জেলা পুলিশ সুপার অহিদুজ্জামান বিপিএম।
দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর পর বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার অহিদুজ্জামান বিপিএম এর সময়ের সাহসী নেতৃত্বে ৩ একর ৭৭ শতাংশ জমি উদ্ধার করে থানার সাইনবোর্ড লটকিয়ে নিশানা টানিয়ে দেয়।
উদ্ধারকৃত জমি উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের চর হিজলা মৌজার জে এল ৫৮ সিএস খতিয়ান ১৩ আর এস ২৮ এবং এসে ৬৪ দাগের ৩.৭৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন বরিশাল জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সরকারের বেদখলকৃত কয়েক কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে এখনো অনেক জায়গায় রয়েছে তাও উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ জুবাইর আহমেদ ও ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম।