আপডেট: জুলাই ১২, ২০২১
বিজয় নিউজ:; দেশের অন্যতম দুধ উৎপাদনকারী এলাকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর। সেখানকার দেড়শ খামারি রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সদস্য। যারা প্রতিদিন চার হাজার লিটার দুধ উৎপাদন করেন।
কিন্তু চলমান লকডাউনে এখন তারা দুধ বিক্রি করতে পারছে না। তাদের প্রতিদিন আড়াই থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার লিটার দুধ মিল্কভিটার কাছে বিক্রি হচ্ছে। বাকি দুধ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। আগে তাদের
সব দুধ বিক্রি হয়ে যেত।
কোম্পানিগুলো আগের মতো দুধ নেয় না। যে দুধ অবিক্রীত থেকে যায়, সেটা নিয়ে খুব বিপদ হয়। বাজারে দুধ বিক্রি হচ্ছে না। মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে সব বন্ধ। বাইরের ক্রেতা নেই।
রেশমবাড়ি এলাকায় এমন আরও দু’টি সমিতি রয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকায় রয়েছে সমিতির বাইরে প্রচুর খামারি। সব মিলিয়ে সেখানে দুধের উৎপাদন প্রায় ১০ হাজার লিটার। যারা মিল্কভিটার বাইরে অন্যান্য কোম্পানি ও নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বাজারে দুধ বিক্রি করতেন, সমিতির খামারিদের থেকে তাদের অবস্থা আরও করুণ।
রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুস সামাদ ফকির জাগো নিউজকে বলেন, কোম্পানি আগের মতো দুধ নেয় না। যে দুধ অবিক্রীত থেকে যায়, সেটা নিয়ে খুব বিপদ হয়। বাজারে দুধ বিক্রি হচ্ছে না। মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে সব বন্ধ। বাইরের ক্রেতা নেই।
তিনি বলেন, সমিতির সদস্যরা তবুও কিছুটা দুধ বিক্রি করছে। কিন্তু যারা সমিতির মাধ্যমে দুধ বিক্রি করেনি, তারা অর্ধেক দুধও বিক্রি করতে পারছে না। এখন বাজারে ২০-২৫ টাকায়ও এক লিটার দুধ কেনার ক্রেতা নেই।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় চার লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক দুধ কিনে দেশীয় প্রতিষ্ঠান তরল দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানিগুলো। এখন লকডাউন পরিস্থিতির কারণে কোম্পানিগুলো দুধ কেনা কমিয়ে দিয়েছে।