২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ধর্মপাশায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেএলজিএসপি,ভিজিডির আত্মসাত ভিজিএফ এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২১

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):; সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধীন বংশীকুন্ডা দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিম মাহমুদ কর্তৃক এলজিএসপি ত্রি প্রকল্পের ভূয়া প্রকল্প তৈরী করে ভূয়া স্বাক্ষরে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে বলে তার বিরুদ্ধে অগনিত অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় উক্ত ইউপির ১নং ওয়ার্ডের আমানিপুর গ্রামের ১২জন অসহায় দরিদ্রদের নামে ভিজিডির তালিকায় তাদের নাম অন্তভূক্ত করলেও সবগুলো কার্ড চেয়ারম্যান তার মামাতো বোন জামাই আমানিপুর গ্রামের মামুনের হাতে দিয়েছে।সে প্রতিমাসে এসব চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করছে। প্রকৃত সুবিধাভূগীরা অদ্যবধী ভিজিডির কোন চাল পায়নি। চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ এর মামাতো বোন জামাই আমানিপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে মামুনকে দিয়ে চেয়ারম্যান আজিম এসব তালিকাভূক্ত ১২জন কার্ডধারীর জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল প্রতি মাসের পর মাস উত্তোলন করে এসব চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করে আসচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে চেয়ারম্যান আজিম এর মামাতো বোন ১নং ওয়াডের আমানিপুর গ্রামের মামুনের স্ত্রী সাবিনা আক্তার বিনু সে পরিষদের কোন সদস্য না হলেও চেয়ারম্যান আজিম তাকে এলজিএসপি প্রকল্পের স্যানিটেশন ল্যাপ্টিন বিভিন্ন গ্রামে স্থাপনের জন্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প দেওয়া হয়। ওই মহিলা উক্ত ওয়ার্ডের কোথাও একটি ল্যাপ্টিন স্থাপন না করেই ভূয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলনকরে আত্মসাত করেছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। এছাড়াও এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থায়ানে টিউব স্থাপনের নামে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতি টিউব- ওয়েলে ১২ হতে ১৫ হাজার টাকা চেয়ারম্যান হাতিয়ে নিয়েও অদ্যবধি কোন টিউব ওয়েল স্থাপন করা হয়নি বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শনিবার বংশীকুন্ডা দক্ষিন ইউনিয়নে গেলে উক্ত ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিছুক একাধিক ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান আজিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তারা বলেন স্থানীয় সরকার বংশীকুন্ডা দক্ষিন ইউনিয়ন উন্নয়নের জন্য বিগত ৫ বছরে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সব চেয়ারম্যান আজিম ও তার আত্মীয় স্বজন নিয়ে লুটপাট করেছেন। উক্ত ইউনিয়নের কোথাও উল্লেখ্য যোগ্য কোন প্রমান নেই। ভূয়া প্রকল্প তৈরী করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে উক্ত ইউপির সদস্যরা জানান।
ভিজিডির সুবিদাভোগী কার্ডগন উক্ত ইউপির ১নং ওয়ার্ড আমানিপুর গ্রামের সুরেশ বিশ্বাস পিতা যোগেস বিশ্বাস কার্ড নং-২৬, সাদেক মিয়া পিতা আব্দুল মিয়া কার্ড নং-২৫, লিটন মিয়া পিতা মনতাজ মিয়া কার্ড নং-১৫, রেশমা রানী স্বামী সৈলেন বিশ্বাস কার্ড নং-৪, জয়ন্তি রানী স্বামী মিলন বিশাবাস কার্ড নং-২, জাফর আলী পিতা মৃত ছবর আলী কার্ড নং-১১ জুসনা স্বামী ফজর আলী কার্ড নং-৪১, হুসনা স্বামী হাবিব কার্ড নং-৩৩, সর্ব সাং আমানিপুর। মন্নাফ পিতা মৃত হাফিজ সাং খিদিরপুর কার্ড নং-৩৪,
এব্যাপারে চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি ভিজিডি খাইনা। এলজিএসপি প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সুনামগঞ্জ থেকে ডিডি এলজি কাজ দেখে বিল দেয়। যা হবার হয়েছে আমাকে নির্বাচনটা করতে দেও।

201 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন