২রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশালে সপ্তাহের ব্যাবধানে বাজারে সবজির দাম কম। মাছে প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বৃদ্ধি

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ সপ্তাহের ব্যাবধানে বরিশালে বাজারে কমেছে সবজির দাম। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় শাক সবজির দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব‍্যাবসায়ীরা। এর পাশাপাশি চাল ডাল ডিম, মাংস ও মুরগির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে মাছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।এতে বিপাকে পড়েছে সীমিত আয়ের মানুষ।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টম্বর) নগরীর বড়বাজার-সহ অন্তত তিনটি কাঁচা বাজার ঘুরে মিলেছে এই তথ‍্য। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা এবং করলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে এসব সবজির দাম প্রতি কেজিতে ২০/৩০ টাকা বেশি থাকলেও সপ্তাহের ব্যাবধানে এখন তা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে। এসব বাজারে ঢেঁড়স, পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় যা বিগত সপ্তাহেও ছিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অপরিবর্তিত ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে।
এছাড়া টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যাবধানে এসব সবজির দাম কমেছে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা।
প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৩০/৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১০ থেকে ২৫ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি, চাল কুমড়া ৫০/৭০ টাকা পিস, কাঁকরোল ৮০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ৩১৫ থেকে ৩২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে খুব একটা বৃষ্টি না হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে, ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে।
এদিকে সব ধরনের মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক রিকসা চালক বলেন,বাজারে মাছের দাম অনেক বেশি, আমি কিনতে পারবোনা, ডিম কিনে নিবো।মাছ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষকে। জাটকা ইলিশ প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫২০ টাকা, ২৫০ গ্রামের ইলিশ ৭০০ টাকা, আগে ছিলো ৬৮০ টাকা,৫০০ গ্রামের ইলিশ ১৬০০ টাকা হলেও আগের সপ্তাহে ছিল ১৫৫০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশ ছিল ২১০০ টাকা পূর্বের সপ্তায় ছিল ২০৫০ টাকা,১০০০ গ্রাম ইলিশ ছিল ২৮৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২৮০০ টাকা। চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা, গত সপ্তায় ছিল ১৫৫০ টাকা, পোমা মাছ প্রত্যেক কেজি ৫৩০ টাকা,গত সপ্তাহে ছিল ৫০০ থেকে ৫১০ টাকা,রুই মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা,গত সপ্তায় ছিল ৪২০ টাকা,প্রতি তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৮০ টাকা,গত সপ্তায় ছিল ১৫০ তেকে ১৬০ টাকা।
বটতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা রাজিব জানান, সবজির দাম কম থাকলেও মাছ আগের চেয়ে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহেও এসব মাছের দাম কেজি প্রতি অন্তত ৩০/৪০ টাকা কম ছিল। মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলছেন ব‍্যবসায়ীরা। ভরা মৌসুম হলেও নদী সাগরে খুব একটা মিলছেনা ইলিশ। ফলে দাম বাড়ছে হু হু করে। কেজি সাইজের মাছ ২৭০০/২৮০০ টাকা কেজি দরেও কিনতে পারছেনা মানুষ। তাছাড়া নদ-নদীর দেশী মাছের সংকট দেখা দেয়ায় চাষের মাছের দাম বেড়েছে বলে জানান ব‍্যবসায়ীরা। দেশী মাছের সরবরাহ বাড়লে মাছের দাম কমবে বলে আশা তাদের। এছাড়া চাল ডাল তেল চিনি লবনসহ অন‍্যান‍্য নিত‍্য পন‍্যের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।

11 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন