এক যৌথ শুভেচ্ছা বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় ছিল বাঙালি জাতির আত্মত্যাগ, সাহস ও অবিচল সংগ্রামের গৌরবময় ফসল। এই বিজয়ের মধ্য দিয়েই একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও মর্যাদাশীল বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে, যা আজও আমাদের জাতীয় চেতনার মূল প্রেরণা।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বাংলাদেশের সংগ্রামী ও অকুতোভয় বীর জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি আগামীর একটি সমৃদ্ধ, সুখী, ন্যায়ভিত্তিক, প্রগতিশীল ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে। সকল প্রকার বৈদেশিক চাপ, আধিপত্যবাদী হস্তক্ষেপ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে প্রতিষ্ঠিত করাই দলটির অঙ্গীকার।
শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। একই সঙ্গে বিগত আগস্ট বিপ্লবের পর এক নতুন, ন্যায়নিষ্ঠ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
নেতৃদ্বয় গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ব্যারিস্টার সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ সালেহউদ্দিনকে। তাঁরা বলেন, তাঁর ত্যাগ, দেশপ্রেম ও রাজনৈতিক আদর্শ ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে আজও আমাদের প্রেরণার উৎস।
পরিশেষে নেতৃদ্বয় বলেন, বিজয় দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি ন্যায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জনগণের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আপসহীনভাবে কাজ করে যাবে।