আপডেট: জুন ৬, ২০২০
পাবনা শহরে স্ত্রী কন্যাসহ অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও দুজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার ভাঁড়ারা খাঁপাড়া গ্রামের কালু খাঁর ছেলে হুকুম আলী খাঁ (৬৫) এবং আতাইকুলা থানার মধুপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে মজনু মিয়া (৪০)।
শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে হুকুম আলীকে সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় গুলি করে আর মধুপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে আবদুল মজিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ভাঁড়ারা খাঁপাড়ার হুকুম আলীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ডাক দেন।
এ সময় ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মাত্র তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই হুকুম আলীর মৃত্যু হয়।
পাবনা সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
সম্প্রতি হুকুম আলীর নাতি রবিউল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় গত ৪ জুন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
সেই মামলার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে, আতাইকুলা থানার ওসি নাসিরুল আলম জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করে বাড়ি ফিরছিলেন মজনু। পথিমধ্যে পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে ঘাড়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মজনুর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বলেন, কারা-কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে; তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।