২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

হিজলায় প্রশাসনের উপস্থিততে মা ইলিশ শিকারের হিড়িক

আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০১৯

বাউশিয়া কোষ্টগার্ড পল্টুনের ৫০ গজের মাথায় রাস্তায় এভাবেই অবৈধ কারেন্ট জাল প্রস্ত করছেন জেলেরা

সাইফুল ইসলাম,হিজলা :: হিজলার মেঘনায় সর্বত্র মা ইলিশ শিকারের হিড়িক। বিভিন্ন দপ্তর এর রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে হরিনাথপুরে প্রশাসনের লোক উপস্থিত থেকে মাছ শিকার করচ্ছেন।

একদিকে চলছে জেল জুলুম অপর দিকে চলছে মৎস্য শিকার জাল বাওয়ার হিড়িক। খোদ হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর, মেমানিয়া হিজলাগৌরব্দী, ধুল খোলা বড়ালিয়ার নদী গুলো বেশিরভাগ সময় থাকে অরক্ষিত। ঝাকে ঝাকে জেলে নেমে পরে মাছ শিকারে। খোদ হরিমাথপুর পুলিশ ফাড়ির সামনে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের নামে হরিলুট।

স্থানীয় জেলেরা জানান প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা মাছ শিকার করছেন মাসহারার বিনিময়ে। মাঝে মাঝে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাধার সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ জেলেদের। পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, তাদের জনবল কম এছারা নদীপথে থানা পুলিশের অভিযান নেই। উপজেলা সদর টেকের বাজারের কাছে নৌ পুলিশ ফাড়ি, বাউশিয়া নদীর পাড়ে রয়েছে কোষ্টগার্ডের ভাসমান বোর্ড-ফাড়ি।

এর পরেও তাদের উপস্থি’তিতে চলছে মা মাছ শিকার। মাত্র ৫০ গজ দুরত্বে কোষ্টগার্ডের বোর্ড। বোর্ডের পার্শ্বেই অবৈধ কারেন্ট জাল মেরাতম এবং বিক্রি করছে জেলেরা। স্থানীয়সচেতন মহল বলছেন কোষ্টগার্ডকে মাসহারার মাধ্যমে ঐ জাল বিক্রি করছে স্থানীয় দোকানদার। অপর দিকে কোষ্টগার্ডের মাসহারা না দিলে সেখানেই চালন অভিযান।

এমন অভিযান করতে গিয়ে হিজলাগৌরব্দীর কাকুরিয়া বাজারে দুই কোষ্টগার্ড সদস্য আহত হয় ২১ অক্টোবর সোমবার দুপুরে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয় হিজলা থানা কোষ্টগার্ড এবং ভোলার কোষ্টগার্ড।

জেলে কোষ্টগার্ড সংলগ্ন ইমানআলী হাওলাদার, মোশাররফ, রুবেল মাতুব্বরসহ একাধিক জেলে জানান আমরা ২২ দিন না খেয়ে থাকব। তাই মাছ ধরার জন্য জাল মেরামত করছি। কোষ্টগাড স্যাররা নদী থেকে এলেই মাছ শিকারে নামব। তাদের সিগনাল পেলেই নদীতে নামি। এ বিষয় কোষ্টগার্ড নিশ্চুপ। রাতের আধারে মাছ নিধন যজ্ঞ। একটু আধার হলেই মাছ শিকারে নামে বাউশিয়া মেঘনা পারের জেলেরা।

একটু গভীর রাত হলেই তাদের মাছ নিধনের কর্মযজ্ঞ ব্যপক ভাবে শুরু। প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেই। মাছ শিকারীদের পাহারার জন্য রয়েছে কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ, মৎস্য দপ্তরসহ নানা প্রশাসন। এর পরেও লোকবলের অভাব। নৌপুলিশ ইনচার্জ বেলাল হোসেন জানান তাদের ডিউটি নদীতে।

নদীর কাজ শেষ করে উপওে উঠতে আইনী জটিলতা রয়েছে। সে কারণে অনেক কিছু সম্ভব না। কোষ্টগার্ডের পল্টুনের ৫০ গজের মধ্যে জেলেদের অবৈধ কারেন্ট জাল মেরামত ও নদীতে মাছ ধনা বিষয় আলাপকালে তারা জানান- তাদের সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ে বাধ্যবাদকতা রয়েছে।

এ বিষয়ে ভোলা কোষ্টগার্ড অফিসের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন মেহেদি, সোহরাব নামের দুজন। তাদের অফিসিয়াল পদবী বিষয় জানতে চাইলে এরিয়ে যান। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা অনিলচন্দ্র দাস জানান তিনি নদীতে ডিউটিতে রয়েছেন। অফিস সময়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতার অভাব কাজ করছে তাদের মধ্যে। তাই এ বিসৃঙ্খলা।

150 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন