আপডেট: মে ২৬, ২০২৫
বিজয় নিউজ ডেক্স :: হিজলায় আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ মেলকার পুলিশের হাতে আটক। একাধারে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা, পঙ্কজ নাথ এর আস্থাভাজন। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের বেয়াই। বিএনপি নেতা শাহ আলম পেদার বেয়াই। হিজলা থানা পুলিশের রক্ষক ছিলেন শহীদ মেকার।
এত কিছুর দাপটে দীর্ঘ ৯ মাস হিজলায় দাপটের সাথে দাপিয়ে বেড়াছিলেন। শেষ রক্ষা হয়নি।
অবশেষে ২৬ মে হিজলার বান্দের হাট নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোতলা থেকে আটক করে থানা পুলিশ। একই দিন তাকে বরিশাল কোর্টে প্রেরণ করা হয়। এমনটাই জানিয়েছেন থানা কর্তৃপক্ষ।
তবে কি কারনে, কোন অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে থানা প্রশাসন।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, তার বরিুদ্ধে রয়েছে জমি জবরদখলের অভিযোগ। ইট ভাটার আড়ালে তিনি করেছেন অসহায় কৃষককে নিঃস্ব। অসহায় কৃষকের চুক্তিভিত্তিক জমি লিজ নিয়ে, স্ট্যাম্পে সই রেখে টাকা দেননি। আওয়ামী লীগের সময় আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দাপট। মেলকার ভবনে থানা পুলিশকে ঘর ভাড়া দিয়ে, পুলিশি দাপট, সাবেক এমপি পঙ্কজ নাথের ক্ষমতার দাপট। ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের ক্ষমতার দাপট। বর্তমান বিএনপির ক্ষমতার দাপট। সবগুলোই তাকে করেছে বেপরোয়া।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইয়াদুল জানান, কর্তৃপক্ষের নিদেশ মোতাবে তাকে আটক করা হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে বান্দের হাটের বাজারের দোতালায় বসবাস করতেন তিনি। হিজলা থানার সামনের মেলকার ভবনে। অনেকটা লুকিয়ে ছিলেন তিনি। ২৬ মে দশটার দিকে আটক করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়।
হিজলা থানা ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম জানান, সুনিদৃষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। কোর্টে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর একটি সূত্র দাবি করছে, ৫ তারিখের পর থেকে মেলকার ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। সাবেক ওসি আবুল কালামের কারণেই তিনি এতদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এখন পুত্র ইলিয়াসকে দমানোই প্রশাসনের কাজ।